প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল?

রুপালি ডেস্ক: টলিউড সিনেমায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী জুটি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দুজনের তিন দশকের ক্যারিয়ার। একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা দিয়ে দর্শকদের হাসিয়েছেন-কাঁদিয়েছেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। উত্তম-সুচিত্রা জুটির পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন এই জুটি। অতীতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির প্রেমের গুঞ্জন যেমন ছড়িয়েছিল, তেমনি সফল এই জুটির প্রেম নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তাই স্বাভাবিকভাবেই  প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বহু বছরের অমীমাংসিত আলোচনা দর্শক-সমালোচকদের মাঝে এখনো রয়েছে।

অনেকের মতে, উত্তম-সুচিত্রার পর বাংলার জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটি। তবে তাদের মান-অভিমানের পালা চলেছিল টানা ১৪ বছর। এ সময়টাতে পর্দা ভাগ করতে দেখা যায়নি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে। এরপর দুজনের মনের জমাট বরফও গলেছে। ‘প্রাক্তন’ দিয়ে কামব্যাক মুভি, এরপর ‘দৃষ্টিকোণ’, এরইমাঝে নিজেদের ৫০তম সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার। রুপালি পর্দায় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা এতবার প্রেমে পড়েছেন যে বাস্তব জীবনেও প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তারা কি বাস্তব জীবনে প্রেমে পড়েছিলেন তা জানতে ভক্তদের রয়েছে তুমুল আগ্রহ। এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছেন ঋতুপর্ণা।

ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ কি সত্যি প্রেম করতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, ‘লোকে তো তা-ই মনে করতো। তবে আমি বলব ২৪ ঘণ্টা একটা মানুষের সঙ্গে থাকলে, কাজ করলে, একটা ভালোবাসা, নির্ভরতা তো তৈরি হয়। তবে কি এই ভালোবাসা প্রেম নয়? এই উত্তর আমি দেব না, এটি রহস্যই থাক। মানুষ উত্তর খুঁজে বেড়াক যুগ যুগ ধরে।’

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার পর আর টলিপাড়ায় জুটি সেভাবে কেন গড়ে উঠছে না? ঋতুপর্ণা বলছেন, ‘এখন তবে কোথায় কমতি? কোথাও গিয়ে যেন আন্তরিকতার অভাব, হৃদয়টা থাকছে না। প্রচুর পরিশ্রমের ফল আমাদের এই জুটি। প্রচুর মানুষের ভালোবাসা আছে। প্রচুর মানুষের আশীর্বাদ রয়েছে। প্রচুর মানুষকে এই জুটি প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে গেছে। দর্শকদের দেখেছি তো, তারা কাঁদছেন, হাত দিয়ে ছোঁয়ার জন্য ডাকছেন।’

জুটি চাইলেই তৈরি করা যায় না! কাজের প্রতি কমিটমেন্ট থাকতে হয়। ঋতুপর্ণাও তাই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এটা রাতারাতি তৈরি হতে পারে না। সেখানে তো আমাদেরও ১০০ শতাংশ কমিটমেন্ট রয়েছে কাজের প্রতি। শুধু কয়টা হোডিং, কয়টা পোস্টারে তো সীমাবদ্ধ নেই। কাজের প্রতি ভালোবাসাটাই আসল। এত বছরেও এই কমিটমেন্টটা কখনো নষ্ট হয়নি।’

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০তম সিনেমা ‘অযোগ্য’ পরিচালনা করছেন কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। গল্পটা চেনা আটপৌরে বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের, ব্যাংক কর্মী রক্তিম মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী পর্ণার। সংসারের বাঁকবদল ঘটে রক্তিমের চাকরি চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। বাড়িতে থাকার পাশাপাশি সংসারে সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্বও নিতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরাতে পর্ণাকেও ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে কাজ নিতে হয়। এমন গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে “অযোগ্য” সিনেমাটি। ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিতের ৫০ তম সিনেমাটি আপনাদের কেমন লেগেছিল?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *