রুপালি ডেস্ক: সাইফ আলী খান শুধু পর্দার নন, বাস্তব জীবনেরও একজন হিরো। তবে এক ঘটনায় তাঁর থেকেও বড় হিরো হয়ে উঠেছেন এক সাধারণ অটোচালক। গভীর রাতে নিজের বাড়িতে অতর্কিত হামলার শিকার হওয়ার পর বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান যেভাবে হাসপাতালে পৌঁছান, সেই গল্প হার মানাবে যেকোনো বলিউড সিনেমার চিত্রনাট্যকে।
গভীর রাতে বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছিলেন সাইফ। তাঁর সাদা কুর্তা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সঙ্গে ছিল তাঁর আট বছর বয়সী সন্তান তৈমুর আলী খান। বাড়িতে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি থাকা সত্ত্বেও সেই মুহূর্তে সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। দিশেহারা সাইফ দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সাহায্যের জন্য।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা লিংক রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভজন সিং রানা। সাইফের বাসভবনের সামনে এক নারীর চিৎকার শুনে তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফিরে আসেন। গেটের সামনে দেখেন, রক্তমাখা শরীরে দাঁড়িয়ে আছেন স্বয়ং সাইফ আলী খান। নিজের পরিচয় দিয়ে সাইফ তাঁকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
ভজন সিং সেই রাতে এক মুহূর্ত দেরি না করে সাইফ ও তৈমুরকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান। শুধু তাই নয়, এই কঠিন সময়ে তিনি সাইফের কাছ থেকে ভাড়াও নিতে অস্বীকার করেন। তাঁর এই নিঃস্বার্থ সাহায্য গোটা ভারতবর্ষের মন জয় করে নিয়েছে। রুপালি পর্দার হিরোকে সাহায্য করে ভজন সিং রানা যেন নিজেই হয়ে উঠেন ‘রিয়েল লাইফ হিরো‘।
মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়ার পর সাইফ আলী খান নিজে সেই অটোচালকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ জানান। সাইফের মা, প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরও ভজনকে তাঁর ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, সাইফ তাঁর গৃহকর্মী এলিয়ামা ফিলিপকেও ধন্যবাদ জানান, যিনি হামলার সময় তাঁকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়েছিলেন।সাইফের প্রতি গৃহকর্মী এবং অটোচালকের অকৃতিম ভালোবাসা একটা উদাহরণ হয়েই থাকবে।